⚜️ {১} অর্গানিক হেয়ার অয়েল :
“তিব্বে ইলাহী এবং তিব্বে নববী হারবাল”-এর ❝শাহী হেয়ার অয়েল (হার্বাল ট্রিটমেন্ট ফর অল হেয়ার এন্ড স্ক্যাল্প প্রোবলেমস)❞ সম্পূর্ণ হালাল আদি আয়ুর্বেদিক ১০ টি ঔষধী তেলসহ আরো ২০ টি ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি যা, চুলের জন্য খুবই উপকারী। ইহার সকল উপাদান ভেষজ হওয়ার কারণে তেলটি খুব দ্রুত এবং সহজেই চুলের গোড়ায় পৌঁছে চুল এবং Scalp এর প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। আমাদের চুল মূলত কেরটিন দিয়ে গঠিত। অর্গানিক ❝শাহী হেয়ার অয়েল❞ চুলে পর্যাপ্ত এমিনো এসিড সরবরাহ করে এবং ফলিকল উদ্দীপিত করে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ইহার ভেষজ উপাদানে আরো আছে Vitamin A, B, C, D সহ আয়রন এবং জিংক যা স্ক্যাল্পে অক্সিজেন প্রবাহিত করে আর নতুন টিসু তৈরি করে এবং চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করে চুলকে দ্রুত বাড়তে সহায়তা করে। এই হেয়ার অয়েল বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে তাই এটি ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব হবে না। অয়েলটি ১০০% হালাল ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এবং SLS, Paraben, Sulfate, Alcohol, Harmful Chemicals, Artificial Colors এবং Fragrance Free তাই এটা শিশু সহ ছেলে ও মেয়ে সকলে ব্যবহার করতে পারবে।
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. প্রথমবার ব্যবহারেই চুল কালো ও রেশমের মতো কোমল ও মসৃন করবে,
🟢 ২. ২৪ ঘন্টার মধ্যে চুল এবং মাথার ত্বকের অপূর্ব পরিবর্তন দেখা যাবে,
🟢 ৩. তেলটি ব্যবহার করার দ্বিতীয় দিনে চুল পড়ে যাওয়া ৯৯% বন্ধ হবে,
🟢 ৪. মাথার ত্বকের এলার্জি জনিত সমস্যা, মৃত কোষ এবং খুশকি দূর করবে,
🟢 ৫. চুল গোড়া থেকে মজবুত করবে,
🟢 ৬. চুলের আগা ফাটা রোধ করবে,
🟢 ৭. চুল দ্রুত ঘন ও দীর্ঘ করবে,
🟢 ৮. চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে,
🟢 ৯. রুক্ষ, ক্ষতিগ্রস্ত, নিষ্প্রাণ ও সম্পূর্ণ Damage হয়ে যাওয়া চুলও পূনরায় আল্লাহর রহমতে প্রাকৃতিক ভাবে প্রাণ ফিরে পাবে,
🟢 ১০. নতুন এবং Healthy চুল গজাবে,
🟢 ১১. ছেলে ও মেয়েদের অকাল পক্কতা রোধ করবে,
🟢 ১২. নিয়মিত ১ মাস ব্যবহারে চুলকে ৫-৬ ইঞ্চি পর্যন্ত দীর্ঘ করবে,
🟢 ১৩. চুলে তেল চিটচিটে ভাব হবে না,
🟢 ১৪. সহজেই চুলের অতিরিক্ত জট ছাড়াতে সাহায্য করবে,
🟢 ১৫. তেলটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করবে তাই বাড়তি কোনো কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হয় না,
🟢 ১৬. তেলটি ব্যবহার করলে মাথা ঠাণ্ডা করবে কিন্তু অন্যান্য মাথা ঠান্ডা করা তেলের মতো সর্দি, কাশি বা ঠাণ্ডা লাগবে না,
🟢 ১৭. সুনিদ্রা আনয়ন করবে,
🟢 ১৮. চুলকে করে তুলবে ঘন, মজবুত, সুন্দর ও কালো রেশমের মত কোমল ও মসৃন,
🟢 ১৯. তেলটি সম্পূর্ণ রাসায়নিক পদার্থ ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত এজন্য যেকোনো বয়সের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে,
🟢 ২০. তেলটি ব্যবহার করলে পাবেন ঝলমলে স্বাস্থ্যউজ্জল চুল,
🟢 ২১. গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, এই তেলটি সব রকমের চুল ও স্ক্যাল্পে ব্যবহার ব্যবহারোপযোগী।
🍃 মূলকথা, তেলটি চুল এবং মাথার ত্বকের সকল প্রকার রোগ ও সমস্যার ১০০% সমাধান করার জন্য মহৌষধ, ইনশাআল্লাহ্।
🌿 উপাদান : খাঁটি নারকেল তেল, মেথি, আমলকী, হরিতকী, বহেরা, জাফরান, ঘৃতকুমারী, যয়তুন অয়েল, হারবাল অয়েলস, এসেন্সিয়াল অয়েলস সহ চুলের জন্য উপকারি সিক্রেট ভেষজ উপাদান।
🌿 ব্যবহারবিধি : প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করুন। হেয়ার অয়েল ব্যবহারের আগে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। ব্যবহৃত বালিশের কভার, তোয়ালে, চিরুনি ইত্যাদি ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। হেয়ার অয়েলের বোতলটি ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন এবং মাথার ত্বক ও চুলে পরিমাণ মতো ব্যবহার করুন এবং কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। হেয়ার অয়েল ব্যবহারের দিনগুলোতে হেয়ার স্প্রে, জেল, টনিক ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
🌿 পরিমাণ : সুদৃশ্য বোতলে ১০০ মি.লি ভেষজ তেল। ৩০০ মি.লি অর্থাৎ ৩টি ফাইলে সম্পূর্ণ কোর্স।
🌿 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🌿 নির্দেশনা : অর্গানিক হেয়ার অয়েল কেমিক্যাল যুক্ত অয়েলের মতো নয়, সামান্য জমাট বাঁধতে পারে। তাই এই অয়েলটি মাসে ২—৩ দিন সূর্যের আলোতে রাখবেন।
🌿 সংরক্ষণ : ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {২} অর্গানিক হেয়ার প্যাক :
চুল— এই একটি শব্দ শুনলেই আমাদের মাথায় একঝাঁক স্মৃতি ভেসে ওঠে। সুস্থ, ঘন, চকচকে চুল যে কেবল একজনের সৌন্দর্যই বাড়ায় তা নয়, এটি ব্যক্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেও বিবেচিত হয়। কিন্তু দূষণ, কেমিক্যাল যুক্ত পণ্য, অনিয়মিত জীবনযাপন এবং স্ট্রেসের কারণে চুল হারাতে শুরু করে তার প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও মজবুত গঠন। এসব সমস্যার সমাধানে যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে নানা ধরনের ভেষজ উপাদান। আমরা নিয়ে এসেছি “তিব্বে ইলাহী এবং তিব্বে নববী হারবাল”-এর ❝শাহী হেয়ার প্যাক❞ যা সম্পূর্ণ ক্ষতিকর ক্যেমিক্যাল ও সাইড এফেক্ট মুক্ত এবং ১০০% প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি।
কেন ❝শাহী হেয়ার প্যাক❞ ব্যবহার করবেন❓
বাজারে অথবা অনলাইনে অনেক কেমিক্যাল যুক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, যা দ্রুত ফলাফল দেয়। কিন্তু এই কেমিক্যাল গুলো দীর্ঘমেয়াদে চুলের ক্ষতি করতে পারে। যেমন : চুল পড়ে যাওয়া, চুলের শুষ্কতা, খুশকির সমস্যা, চুলের স্বাভাবিক রঙ হারানো ইত্যাদি। অর্গানিক উপাদানে তৈরি ❝শাহী হেয়ার প্যাক❞ ব্যবহার করলে আপনি এসব ক্ষতির আশঙ্কা ছাড়াই চুলের সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারেন। তাছাড়া এমনও হেয়ার প্রোডাক্টস আছে যেগুলো নামাজী ব্যক্তিরা ব্যবহার করতে পারবেন না অর্থাৎ সম্পূর্ণ হালাল উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়না। পক্ষান্তরে, আমাদের অর্গানিক ❝শাহী হেয়ার প্যাক❞ ১০০% হালাল ও ন্যাচারাল উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. চুলের গোড়া মজবুত করে,
🟢 ২. চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে,
🟢 ৩. স্ক্যাল্পের মৃতকোষ ও খুশকি প্রতিরোধ করে,
🟢 ৪. স্ক্যাল্পের ব্যাকটেরিয়া ও খুশকির জীবাণু ধ্বংস করে,
🟢 ৫. চুলের গভীরে পৌঁছে পুষ্টি প্রদান করে,
🟢 ৬. চুলের দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে,
🟢 ৭. চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে,
🟢 ৮. নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে,
🟢 ৯. চুলের ঘনত্ব বাড়াতে কার্যকর,
🟢 ১০. চুলের আগা ফাটা, ভাঙ্গা ও ছিঁড়ে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে,
🟢 ১১. চুলের অকালপক্কতা রোধ করে,
🟢 ১২. চুলকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও কোমলতা প্রদান করে,
🟢 ১৩. চুলের ময়েশ্চার লক করে এবং স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখে,
🟢 ১৪. চুলকে করে ঝলমলে এবং প্রাণবন্ত।
🌿 ব্যবহারবিধি : একটি কাঁচের বাটিতে ❝শাহী হেয়ার প্যাক❞ প্রয়োজন মতো নিয়ে পানিতে মিশিয়ে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। কম সময়ের মধ্যে প্যাক তৈরি করতে হলে গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। চাইলে এতে টক দই, ডিম বা মধু মিশিয়ে নিন। প্যাকটি মাথার স্ক্যাল্প এবং চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর শুধু পানি বা অল্প অর্গানিক শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
🌿 উপাদান : আমলকী, হরিতকী, বহেরা, মেথি, নিম, অ্যালোভেরা সহ চুলের জন্য উপকারি সিক্রেট ভেষজ উপাদান।
🌿 পরিমাণ : সুদৃশ্য কন্টিনারে ১৫০ গ্রাম পাউডার।
🌿 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🌿 নির্দেশনা : অর্গানিক হেয়ার প্যাক কেমিক্যাল যুক্ত হেয়ার প্যাকের মতো নয়, টেম্পারেচার অনুযায়ী সামান্য জমাট বাঁধতে পারে। তাই প্রতি মাসে ২—৩ দিন হেয়ার প্যাকের কন্টিনারটি রোদে দিন।
🌿 সংরক্ষণ : শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {৩} অর্গানিক হেয়ার শ্যাম্পু :
বর্তমানে নানা ধরনের, নানা রঙের শ্যাম্পু পাওয়া যায় অনলাইন ও মার্কেটে। সেসব শ্যাম্পুর কোম্পানি গুলো দাবি করে হাজার রকমের বেনিফিট। আসলেই কি কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু আপনার কাঙ্খিত বেনিফিট দিতে পারে❓ না‼️
বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেই থাকে উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যা আপনার চুলের কোন উপকার তো করেই না বরং আরো ক্ষতি করে। তবে চিন্তার কোন কারন নেই আমরা নিয়ে এসেছি “তিব্বে ইলাহী এবং তিব্বে নববী হারবাল”-এর ❝শাহী শ্যাম্পু (মাল্টি ভিটামিন ন্যাচারাল শ্যাম্পু)❞। এটা অত্যন্ত কার্যকরী অর্গানিক শ্যাম্পু যা ১০০% হালাল ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এবং SLS, Paraben, Sulfate, Alcohol, Harmful Chemicals, Artificial Colors এবং Fragrance Free তাই ১০ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ছেলে ও মেয়ে সকলে ব্যবহার করতে পারবেন।
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. খুশকি দূর করবে নিমেষেই,
🟢 ২. নিয়মিত ব্যবহারে স্ক্যাল্পে একনে, ফুসকুড়ি, ইচিং, এলার্জি দূর করবে,
🟢 ৩. চুল পড়া কমাবে এবং চুলকে নারিশ করে ময়েশ্চার আর স্মুথনেস দেবে,
🟢 ৪. চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে ড্যামেজ হয়ে যাওয়া চুল ও স্ক্যাল্প রিপেয়ার করবে,
🟢 ৫. চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মজবুত করে তুলবে,
🟢 ৬. চুলের ভঙ্গুরতা দূর করবে এবং আগা ফাটা ভাব কমিয়ে এনে আস্তে আস্তে চুলকে নতুনের মত করে তুলবে,
🟢 ৭. সূর্যের ক্ষতিকারক UVA ও UVB রশ্মি এবং বিভিন্ন কেমিক্যাল রিএকশন থেকে চুলকে সুরক্ষা দেবে,
🟢 ৮. মাথার ত্বকে ঘাম জমে গন্ধ হতে দেয়না এবং চুলে আনে ফ্লাওয়ারি একটা এসেন্স,
🟢 ৯. চুল আচড়ানো সহজ হয়, তাই চুলের ঝড়ে পড়ার হার ও কমে যায়,
🟢 ১০. চুল ঘন, কালো, সফট, স্ট্রংগার, সিল্কি এবং শাইনি করে তুলবে,
🟢 ১১.এই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে না,
🟢 ১২. চুলের ফ্রিজিনেস কমে যায় এবং নির্জীব চুল হয়ে ওঠে ঝলমলে উজ্জল ও প্রাণবন্ত।
🌿 উপাদান : ❝শাহী শ্যাম্পু❞-এতে রয়েছে খাঁটি জাফরান অয়েল, অ্যালোভেরা, অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল, হারবাল অয়েলস, এসেন্সিয়াল অয়েলস সহ চুল ও স্ক্যাল্পের জন্য উপকারী সিক্রেট ভেষজ উপাদান। তাই চুলের যত্নে এই অর্গানিক শ্যাম্পুর ব্যবহার আপনাকে আশ্চর্যজনক ফলাফল পেতে সহায়তা করবে, ইনশাআল্লাহ্। এই অর্গানিক শ্যাম্পুর মধ্যে বিদ্যমান প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ন্যাচারাল অ্যান্টি সেফটিক, এন্টি মাইক্রোবিয়াল, এন্টি ব্যক্টেরিয়াল, এন্টি ফাঙ্গাল, এন্টি ইনফ্লামেটরি, এন্টি ফাংগাল এজেন্ট, এন্টিমুটাজেনিক, এন্টিটেসিভ এজেন্ট, এন্টিসোলার এজেন্ট, প্রোটিন, ফ্যাটি এসিড, ওলেইক এসিড, লেসিথিন, ক্লোরোফিল, ফাইটোস্টেরলস, ট্রাইগ্লিসারাইড, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাংগানিজ ইত্যাদি উপকারী উপাদান রয়েছে।
🌿 ব্যবহারবিধি : চুল ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে ‘তিব্বে নববী শাহী শ্যাম্পু’ এপ্লাই করুন। সামান্য একটু পানি শ্যাম্পুতে মিলিয়ে নিয়ে পুরো মাথায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। অল্প সময় রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই বার বা সর্বোচ্চ তিনবার ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুটি ব্যবহার করে চুল ধোয়ার পর নিজেই পার্থক্য অনুভব করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্।
🌿 পরিমাণ : সুদৃশ্য কন্টিনারে ৫০০ মি.লি ভেষজ শ্যাম্পু।
🌿 নির্দেশনা : অর্গানিক শ্যাম্পু গুলোতে কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পুর মতো অতিমাত্রায় ফেনা তৈরি হয় না কিন্তু চুল ও স্ক্যাল্প সঠিকভাবে পরিষ্কার করে।
🌿 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🌿 সংরক্ষণ : ব্যবহারের পর সূর্যের আলোর থেকে দূরে ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {৪} অর্গানিক টুথ পাউডার :
আগেরকার দিনে একটা সময় ছিল দাঁতের যত্নে ভালো মানের ভেষজ উপাদানের গুঁড়া দিয়ে তৈরি মাজন বা টুথ পাউডার পাওয়া যেত। কিন্তু এখনকার যুগে সবাই টুথপেষ্ট অথবা টুথ পাউডার ব্যবহার করছেন এবং বাজারে যে টুথপেষ্ট অথবা টুথ পাউডার গুলো পাওয়া যায় তার মধ্যেও নানা রকম রাসায়নিক মিশানো থাকে। বেশিরভাগ টুথ পাউডার ও টুথপেস্টে GMO, SLS, SLSE, গ্লুটেন, ফ্লুরাইড, ক্যারাজিনান, প্যারাবেন, সালফেট, সুগন্ধি, স্যাকারিন, কীটনাশক, ডিটারজেন্ট বা কৃত্রিম উপাদান সহ আরও অনেক রাসায়নিক রয়েছে যেগুলোর স্বাদ এবং গন্ধ খুবই ভাল কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্ত টুথপেস্ট ও টুথ পাউডার বা মাজন ব্যবহারের ফলে শুধু যে মাড়ির ক্ষতি হয়, তা নয় মুখের ঘা, এমনকি ক্যান্সারের মতো অসুখের কারণও হতে পারে। এক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে অর্গানিক টুথ পাউডার ব্যবহার করা যায়। তাই সচেতন মানুষেরা ভেষজ মাজন/অর্গানিক টুথ পাউডারের ওপরেই ভরসা রাখেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্গানিক পাউডার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে খাঁটি অর্গানিক টুথ পাউডার খুব কমই পাওয়া যায়। তন্মধ্যে কিছু অর্গানিক টুথ পাউডার আছে যা সম্পূর্ণ ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় না এবং কিছু আছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয় এবং বেশি দিন মেয়াদ রাখার জন্য কেমিক্যাল মেশানো হয় যা মুখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। “তিব্বে ইলাহী এবং তিব্বে নববী হারবাল”-এর ❝শাহী টুথ পাউডার❞ ক্রমাগত তার গুণমানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এমন উপাদানগুলির সাথে কখনই আপোষ করে না যা আপনার এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া এতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক এবং দাঁত ক্ষয়কারী কয়লা বা ছাই জাতীয় কোনো পদার্থ নেই। এটি শুধু নিরাপদ, শক্তিশালী প্রাকৃতিক এবং পরিষ্কার উপাদানে তৈরি।
🌿 ❝শাহী টুথ পাউডার❞-এর প্রধান উপাদান গুলোর মধ্যে একটি উপাদান হলো নিম। প্রাচীনকাল থেকেই দাঁতের পরিচর্যায় নিমগাছের মাজন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিমের মধ্যে তিক্ত স্বাদের স্যাপোনিন, ফ্লাভোনয়েড, ট্যানিন, অ্যালকালয়েড, গ্রাইকোইকোসাইড ইত্যাদি উপাদান বিদ্যমান। এসব উপাদান জীবাণুর বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি দন্তক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
🌿 উপকারিতা : নিম, লবঙ্গ, পুদিনা, এলাচি, হলুদ সহ মুখ ও দাঁতের জন্য উপকারি ৩০টিরও বেশি ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে প্রস্তুত ❝শাহী টুথ পাউডার❞ যা দাঁত ব্যথা, ফুসকুড়ি, মাড়ি ফুলে যাওয়া, মাড়ির প্রদাহ, মাড়ির রক্তপাত, দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি প্রতিরোধ করে, প্লাক কমায়, ব্যাকটেরিয়া দূর করে, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে শ্বাসকে সতেজ করে। দাঁতের কালো দাগ, মুখের ঘা এবং পায়োরিয়া নিরাময়ে খুবই কার্যকর। সাধারণভাবে মুখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দাঁত মজবুত করে এবং রোগ নিরাময় করে মুখের শুষ্কতা দূর করে এবং পুষ্টি জোগায়, দাঁতের পূর্ণাঙ্গ পরিষ্কার নিশ্চিত করে, শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক ও সংবেদনশীল দাঁতের জন্যও নিরাপদ। সম্পূর্ণ হালাল ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। প্রাকৃতিক ফ্লেভার ও হালকা ফোম দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী তাজা অনুভূতি পাবেন।
🌿 ব্যবহারবিধি : রাতে ঘুমানোর পূর্বে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি নরম টুথব্রাশ বা তর্জনী আঙ্গুলে নিয়ে দাঁত ও মাড়ির উভয় পাশে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। অথবা পরিমান মতো টুথ পাউডার নিয়ে ব্রাশ/মিসওয়াক দিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ/ব্রাশ করার পর টুথ পাউডারের মিশ্রণটি ২—৩ মিনিট মুখের ভেতর রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে গার্গল/গরগরা করুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
🌿 পরিমাণ : সুদৃশ্য প্লাস্টিক কন্টিনারে ২০ গ্রাম জৈব ভেষজ পাউডার।
🌿 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🌿 সংরক্ষণ : ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {৫} অর্গানিক স্পেশাল ক্রিম :
দাগ মুক্ত গ্লোয়িং ত্বকের সাথে পাচ্ছেন স্কিন রিপেয়ার সলিউশন সেটাও প্রাকৃতিক ভাবে! মাত্র ১ সপ্তাহ ব্যবহারেই আপনি পাবেন ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত একটি ত্বক। আজে বাজে ক্যেমিক্যাল আর পণ্য দিয়ে যারা স্কিনকে ড্যামেজ করে ফেলেছেন, স্কিনের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে- তারা অবশ্যই আমাদের ক্রিমটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বাজারের ক্ষতিকারক ক্যেমিক্যাল যুক্ত ক্রিমের তুলনায় আমাদের প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ “তিব্বে ইলাহী এবং তিব্বে নববী হারবাল”-এর ❝শাহী গ্লো ক্রিম (অল ইন ওয়ান ন্যাচারাল ক্রিম)❞ অনেক বেশী নিরাপদ এবং কার্যকর। ক্রিমটি সম্পূর্ণ হালাল ন্যাচারাল উপাদান দিয়ে তৈরি তাই কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই (side effects free) এবং স্কিনের জন্য ১০০% নিরাপদ। ❝শাহী গ্লো ক্রিম❞ ব্যবহারের প্রথম দিন থেকেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। এটা ১২ মাস ব্যবহার করা যাবে এবং ৯—১০ বছরের উপরের বয়সের সবার জন্য ব্যবহারোপযোগী, ইনশাআল্লাহ্।
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. ২৪ ঘন্টা স্কিন ময়েশ্চারাইজ করবে,
🟢 ২. ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করবে,
🟢 ৩. নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ, ব্রণের দাগ, পিগমেন্টেশন, মেছতা, সানটান, কালো দাগ ও যেকোনো পুরোনো দাগ দূর করবে,
🟢 ৪. ডেড স্কিন রিমুভ করবে তাই স্কিন গ্লো করবে নরমালের চেয়ে বেশী,
🟢 ৫. ড্যামেজ ত্বক রিপেয়ার করবে,
🟢 ৬. ত্বককে তারুণ্য বজায় রেখে সূক্ষ্ম রেখা এবং বলির উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে,
🟢 ৭. ত্বক ভেতর থেকে ক্লিন, সফট ও মসৃন করবে,
🟢 ৮. ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে কয়েক গুণ ফর্সা ও উজ্জ্বল করবে,
🟢 ৯. এই ক্রিমে রয়েছে Beta Carotene যা এন্টি এজিং এর কাজ করবে তাই স্কিন থাকবে টানটান ও হেলদি,
🟢 ১০. এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, ই ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যা স্কিনকে হাইড্রেট রাখবে,
🟢 ১১. dry, oily, sensitive সব ধরণের ত্বকে ব্যবহারোপযোগী, ইনশাআল্লাহ্।
🌿 ব্যবহারবিধি : প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে আমাদের যেকোনো অর্গানিক সোপ দিয়ে ভালো করে ফেইস ক্লিন করে মুছে নিতে হবে। হাতের আঙুলে সামান্য ক্রিম নিয়ে সম্পূর্ণ মুখমন্ডলে ম্যাসাজ করুন। ২—৩ ঘন্টা পানি লাগাবেন না। সাথে আমাদের অর্গানিক শাহী উপটান (ফেইস প্যাক) ও শাহী টোনার ব্যবহার করলে দ্বিগুণ ব্রাইটনেস আসবে। স্কিন ডিপ ক্লিন করবে। বেবিদের মতো গ্লাসি ও হেলদি স্কিন।
🌿 উপাদান : চন্দন, জাফরান, অ্যালোভেরা, কাঠবাদাম, অলিভ অয়েল, হারবাল অয়েলস, এসেন্সিয়াল অয়েলস সহ ত্বকের জন্য উপকারি সিক্রেট ভেষজ উপাদান।
🌿 পরিমাণ : সুদৃশ্য কন্টিনারে ২০ মি.লি ভেষজ ক্রিম।
🌿 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🌿 নির্দেশনা : অর্গানিক ক্রিম কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিমের মতো নয়, টেম্পারেচার অনুযায়ী সামান্য তরল হয়ে যেতে পারে বা জমাট বাঁধতে পারে।
🌿 সংরক্ষণ : সূর্যের আলো থেকে দূরে ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {৬} অর্গানিক উপটান/ফেস প্যাক :
ঈদ উৎসব, বিয়ে বাড়ি, পার্টি বা অনুষ্ঠান কিংবা যেকোনো উৎসব উপলক্ষে অথবা নিয়মিত কমবেশি সবাই ত্বকের যত্ন নেন। তবে যেকোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানের একদিন বা দুই দিন আগে যদি ত্বকের যত্ন নেয়া হয় তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ততটা বাড়বে না আবার কালচে দাগ ছোপ ও দূর হবে না। এজন্য বেশ কিছুদিন আগ থেকেই ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে।
সকলের থেকে আলাদা হতে, পার্টনারকে মন জয় করতে পোশাকের পাশাপাশি ত্বকের চাই বাড়তি জেল্লা (Bright Skin)। আর ত্বকের যত্ন বা স্কিন কেয়ারের প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই মনে পড়ে ফেসিয়ালের কথা। স্বর্ণের মত উজ্জ্বল, পরিস্কার ও কোমল করে তুলতে পার্লারে ফেসিয়ালের (Facial) কদর বেশ বেশি। রূপটানের আগে ফেসিয়াল ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এই ফেসিয়ালের জন্য পকেট থেকে টাকাও খসাতে হয় বটে। ফেসিয়াল শুধু জেল্লা বাড়াতেই নয়, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের সহায়ক। স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ও লাবণ্যে মাখা ত্বকের জন্য তাই টাকা খসিয়ে পার্লারে ফেসিয়াল করান অনেকেই। যদিও এই ধরনের ফেসিয়াল এক পার্লার থেকে অন্য পার্লারকে আলাদা করে। তবে ব্যাপারটা সেই একই। শুধু কি পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করা যায়, ঘরেও খুব সহজে নিয়মিত করা যায় ফেসিয়াল।
কি বলেন, ফেসিয়াল করাটা কী ঘরে বসে কখনও সম্ভব❓
✅ হ্যাঁ নিশ্চয়ই ১০০% সম্ভব! মহান আল্লাহ্ তা‘আলার অশেষ রহমতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি “তিব্বে ইলাহী এবং তিব্বে নববী হারবাল”-এর ❝শাহী উপটান❞। এটা এমন এক মিশ্রন যা একের ভিতর সকল গুনের অলৌকিক সমন্বয়ের অর্গানিক ফেসিয়াল প্যাক। আলহামদুলিল্লাহ্! বহুদিনের প্রচেষ্টার ফসল এবং দো‘আর প্রতিফল স্বরূপ এই মিশ্রণটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। তবে পণ্যটির নাম ঠিক করা নিয়ে ছিলাম ভিষণ চিন্তিত। যেহেতু পণ্যটির মধ্যে পূর্বের রাজরাণীগণ নিজেদের রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করতেন এমন উপাদান সমূহও রয়েছে, তাই অবশেষে এটার নাম দিলাম ❝শাহী উপটান❞।
💖 পার্লারে আর ‘ফেসিয়াল’ নয়, স্বর্ণের মতো চকচকে ত্বক পেতে ফেসিয়াল করুন ঘরে বসেই। এই পণ্যটি বিশেষতঃ তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে যারা পর্দা করেন অথবা যারা অফিসিয়াল কাজের কারনে পার্লারে গিয়ে সময় দিতে পারেন না। যদি ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চান তাহলে এই পণ্যটি দিয়ে ঘরে বসেই ফেসিয়াল করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্। অর্গানিক ❝শাহী উপটান❞-এর বহু উপকারিতা রয়েছে। এখানে কিছু উপকারিতা লেখা হয়েছে এবং এটা ব্যবহার করার জন্য যে নিয়ম সমূহ আছে সেগুলোর প্রতিটি স্টেপ জেনে নিন।
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ দূর করবে এবং ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করবে,
🟢 ২. মেছতা, ছুলি, র্যাশ দূর করবে,
🟢 ৩. চোখের নিচের কালো দাগ দূর করবে,
🟢 ৪. রোদে পোড়া ভাব দূর করবে,
🟢 ৫. ব্রণের দাগ, এলার্জি জনিত দাগ, কালো দাগ, ছোপ ছোপ দাগ সহ যেকোনো ধরনের দাগ দূর করবে,
🟢 ৬. বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করবে,
🟢 ৭. ধিরে ধিরে ত্বকের পোরস ছোটো ও স্বাভাবিক হয়ে যাবে,
🟢 ৮. ত্বক ময়েশ্চারাইজ করবে,
🟢 ৯. ত্বকের নিস্তেজতা এবং ট্যান দূর করে ত্বককে করবে প্রাণবন্ত,
🟢 ১০. গভীরভাবে ত্বক পরিষ্কার করবে,
🟢 ১১. ত্বক সফট ও মসৃন করবে,
🟢 ১২. Damage হয়ে যাওয়া ত্বক Repair করবে,
🟢 ১৩. ত্বককে ভেতর থেকে সমানভাবে প্রাকৃতিক ফর্সা করবে,
🟢 ১৪. ত্বক টানটান করবে,
🟢 ১৫. ত্বকে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখবে,
🟢 ১৬. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও দীপ্তিময় করবে,
🟢 ১৭. ত্বকে পুষ্টি সরবরাহ করে ত্বকের স্বাস্থ্য improve করবে,
🟢 ১৮. তৈলাক্ত ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে,
🟢 ১৯. শুষ্ক ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করবে,
🟢 ২০. কৌটার গায়ে লিখিত নিয়ম অনুসারে ব্যবহার করলে শুষ্ক ও তৈলাক্ত উভয় ত্বকেই ব্যবহার করা যাবে,
🟢 ২১. Sensitive সহ সকল ধরনের ত্বকে ব্যবহারোপযোগী,
🟢 ২২. প্রথমবার ব্যবহার করলেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন,
🟢 ২৩. ছেলে ও মেয়েদের উভয়েই ব্যবহার করতে পারবে,
🟢 ২৪. ১০০% হালাল, সম্পূর্ন রাসায়নিক পদার্থ এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত।
🌿 উপাদান : চন্দন, গোলাপ, নিম, মুলতানি মাটি, অ্যালোভেরা সহ ত্বকের জন্য উপকারি ৫০টিরও বেশি সিক্রেট ভেষজ উপাদান।
🌿 ব্যবহারবিধি : ❝শাহী উপটান❞ মুখমণ্ডল, ঘাড়, গলাসহ শরীরের যে কোনো স্থানে ব্যবহার করা যাবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে উপটানটি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক সারারাত বিশ্রামে থাকে এবং উপটান বেশি কার্যকর হয়। শুরুতে সমস্ত মুখমন্ডল অর্গানিক সোপ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর স্টিম করতে প্রথমে খুব অল্প পরিমাণ যয়তুন তেল সারা মুখে মালিশ করে নিন। তারপর যে কোন গরম পানির পাত্রে পাতলা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে তার ভাপ নিন। একটা ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কারক যন্ত্রের সাহায্যে ব্ল্যাকহেডসগুলো পরিষ্কার করে নিন। যেহেতু লোমকূপ খোলা আছে তাই যন্ত্রের হালকা চাপেই উঠে আসবে ব্ল্যাকহেডস। এরপর অর্গানিক টোনার ব্যবহার করুন। এবার হচ্ছে আসল কাজ- উপটান/ফেইস প্যাক এর ব্যবহার। একটি কাঁচ বা মেলামাইন এর পাত্রে প্রয়োজনমত ❝শাহী উপটান❞ গুড়া নিন। ফেসপ্যাক তৈরি করতে, শুষ্ক ত্বকের জন্য গোলাপ জল পরিমান মত দিয়ে পেস্ট তৈরি করবেন এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মধু অথবা গরুর কাঁচা দুধ পরিমান মত দিয়ে পেস্ট তৈরি করবেন। এরপর মিশ্রণটি মুখমন্ডল, গলা এবং ঘাড়ে অথবা শরীরের যে স্থানে প্রয়োজন সে স্থানে লাগিয়ে ২ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ত্বকে সামান্য পুরু করে ফেসপ্যাকটি লাগান এবং ২৫—৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে নরমাল হালকা পানি দিয়ে ১ মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে হালকা ভাবে ত্বক মুছে ফেলুন। সব শেষে অর্গানিক ফেইস ক্রিম ব্যবহার করুন। এবার আয়নায় আপনার চেহারাটি মিলিয়ে নিন, নিজেই অবাক হয়ে যাবেন ত্বকের জেল্লা দেখে।
🌿 পরিমাণ : সুদৃশ্য কন্টিনারে ৫০ গ্রাম ভেষজ উপটান।
🌿 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🌿 নির্দেশনা : উপটান/ফেস প্যাক তৈরি সাথে সাথে ব্যবহার করতে হবে। বাসি উপটান ব্যবহার করবেন না। হাত দিয়ে উপটানটি লাগানাের ক্ষেত্রে হাত ভালাে করে পরিষ্কার করে নিবেন। উপটান ত্বকে খুব বেশি শুকাতে দিবেননা; খুব বেশি শুকানাের আগে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ ও মেছতার সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন ১ বার আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন। অর্গানিক ফেইস প্যাক কেমিক্যাল যুক্ত ফেইস প্যাকের মতো নয়, সামান্য জমাট বাঁধতে পারে। তাই কন্টিনারটি মাসে ২—৩ দিন সূর্যের আলোতে রাখবেন।
🌿 সংরক্ষণ : ব্যবহারের পর ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {৭} অর্গানিক বডি অয়েল :
ত্বকের জন্য অর্গানিক হারবাল অয়েলের ওপর ভরসা রাখার কথা বলছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই ত্বকের শুষ্কতা কাটাতে ভরসা করে থাকেন ময়শ্চারাইজারের উপর। তেলের ভারীভাব অনেকেরই পছন্দ না! তবে নম্রতা রেড্ডি, নেহা জুনেজা প্রমুখ ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ময়শ্চরাইজারের থেকে অনেক বেশি উপকারী অর্গানিক বডি অয়েল। কেন নিয়মিত শরীরে তেল মাখা প্রয়োজন, সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞরা। শুষ্ক ত্বককে সতেজ রাখতে তেলের বিকল্প হয়না বলে মত বিভিন্ন ত্বক বিশেষজ্ঞদের। প্রথমত, তেলে কোনও আলাদা পরিস্রবণের ফ্যাক্টর থাকে না বলে, তেল ত্বকের পক্ষে শত শত বছর ধরে কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। এতে প্রাকৃতিক গুনাগুন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এটি সহজেই ত্বকে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও বলা হচ্ছে, ত্বককে নরম রাখতে ও মসৃণ রাখতে অর্গানিক হারবাল বডি অয়েলের জুরি মেলা ভার। তেলে কোনও রকমের গন্ধ যুক্ত করার জন্য আলাদা করে রাসায়নিক থাকে না। এছাড়াও বডি লোশন ও ক্রিমে যে প্রিজারভেটিভ থাকে, তা অর্গানিক হারবাল বডি অয়েলে থাকে না। ত্বকের অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করে ত্বকের আর্দ্রতাকে যেমন তেল ধরে রাখে, তেমনই ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। যাদের ত্বকে শুষ্কতার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা বডি লোশন ও ক্রিমে ভরসা রেখেও ফলাফল না পেয়ে থাকলে, অর্গানিক হারবাল বডি অয়েল তাঁদের ভোগান্তি দূর করতে পারে। কখনও সাবান বা কখনও আবহাওয়ার জেরে ত্বকে শুষ্কতা আসতে পারে। এক্ষেত্রে বডি লোশন ও ক্রিমের থেকে বেশি ভালো কাজ দেয় অর্গানিক হারবাল বডি অয়েল। যেহেতু ত্বক সহজে তেলকে গ্রহণ করে নিতে পারে, তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।
জাফরান, মধু, ঘৃতকুমারী, যয়তুন অয়েল, হারবাল অয়েলস, এসেন্সিয়াল অয়েলস সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি “তিব্বে ইলাহি এবং তিব্বে নববী হারবাল”-এর ❝শাহী বডি অয়েল (কমপ্লিট কেয়ার)❞ যা আপনাকে দেবে বিউটি কুইনের মতো সৌন্দর্য। এই বডি অয়েল বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে তাই এটি ব্যবহার করলে ত্বকে তেলতেলে ভাব হবে না। এটি ১০০% হালাল এবং সম্পূর্ণ রাসায়নিক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত তাই সকল বয়সের মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. ত্বকের যেকোনো দাগ, ব্রণের দাগ, রোদে পোড়া ভাব দূর করবে,
🟢 ২. এটি ত্বকের বিবর্ণতা এবং কুঁচকে যাওয়া প্রতিরোধ করবে,
🟢 ৩. এটি ত্বকের মৃত কোষকে পুনরুজ্জীবিত করবে,
🟢 ৪. এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বকের সমস্যা সমাধান করে এবং ত্বককে সর্বোত্তমভাবে ময়শ্চারাইজ ও পুষ্টি দিতে সাহায্য করবে,
🟢 ৫. এটি সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি এবং শীতের রুক্ষতা থেকে ত্বককে রক্ষা করবে,
🟢 ৬. এটি Damaged Skin Repair করবে,
🟢 ৭. এটি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে এবং ত্বককে কোমল, সিল্কি, মসৃণ এবং উজ্জ্বল করবে,
🟢 ৮. এটি সুস্থ ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে তাই সারা বছর ব্যবহার করা যাবে,
🟢 ৯. এটি ব্যবহারে আপনার ত্বক শিশুদের ত্বকের মতো কোমল ও সুন্দর করে তুলবে,
🟢 ১০. এছাড়াও এতে উপস্থিত ভেষজ উপাদানগুলোর গুণে ছোটখাটো ফুসকুড়ি, ক্ষত, ফাটা ত্বক, ছোটখাটো কাটা, ঘা এবং অ্যালার্জি আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
🌿 উপাদান : জাফরান, ঘৃতকুমারী, যয়তুন অয়েল, হারবাল অয়েলস, এসেন্সিয়াল অয়েলস সহ ত্বকের জন্য উপকারি সিক্রেট ভেষজ উপাদান।
🌿 ব্যবহারবিধি : বডি অয়েল ব্যবহারের আগে বোতলটি ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। প্রতিদিন গোসলের পর মুখ, ঘাড় এবং শরীরে ব্যবহার করুন।
🌿 পরিমান : সুদৃশ্য প্লাস্টিকের বোতলে ১০০ মিলি ভেষজ তেল।
🌿 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🌿 নির্দেশনা : অর্গানিক বডি অয়েল কেমিক্যাল যুক্ত অয়েলের মতো নয়, সামান্য জমাট বাঁধতে পারে। তাই এই অয়েলটি মাসে ২—৩ দিন সূর্যের আলোতে রাখবেন।
🌿 সংরক্ষণ : ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {৮} অর্গানিক হ্যান্ডমেড ব্ল্যাকসিড সোপ :
কালোজিরাকে বলা হয় মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের মহৌষধ। এ জন্যই এই জিনিসটিকে অনেকে কালোহিরা বলেন। পাকিস্তান, দুবাই, ইউএসএ প্রমুখ দেশগুলোতে ব্ল্যাকসিড সোপ তৈরি করা হয় এবং এটা খুবই জনপ্রিয় একটি প্রোডাক্ট। মহান আল্লাহ্ তা‘আলার অশেষ রহমতে বাংলাদেশে আমরাই প্রথম জনপ্রিয় এই অর্গানিক ব্ল্যাকসিড সোপটি তৈরি করেছি আলহামদুলিল্লাহ্। আমাদের প্রিমিয়াম ব্ল্যাকসিড সোপ এর ইনগ্রেডিয়েন্ট গুলোর অন্যতম ও মূল ইনগ্রেডিয়েন্ট হলো কালোজিরা বা ব্ল্যাকসিড। কালোজিরায় এমন কিছু অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেন্সিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বককে পরিবেশের প্রখরতা স্ট্রেস প্রভৃতি থেকে রক্ষা করে। ব্রণ দূর করতে এবং ত্বকের টেক্সচার উন্নত করতেও সহায়তা করে। কালোজিরার অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমূহ ত্বককে ডিটক্সিফাই বা দূষণমুক্ত করে এবং সিবামের উৎপাদন হ্রাস করতে সহায়তা করে। আপনি এখন থেকে মুখের ত্বক দূষণমুক্ত করতেও “তিব্বে ইলাহী এবং তিব্বে নববী হারবাল”-এর ❝শাহী ব্ল্যাকসিড সোপ❞ ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষতঃ যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের জন্য এটি খুব প্রয়োজনীয়। তৈলাক্ত ত্বকেব্যবহারের জন্য সর্বোত্তম এবং ব্রণের ফলে মুখের ত্বকে সৃষ্ট দাগ কমাতেও কার্যকর। ❝শাহী ব্ল্যাকসিড সোপ❞ ১০০ ভাগ নিরাপদ কারণ, এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও হালাল উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং SLS, Parabens, Sulfates, Alcohol, Harmful Chemicals, Artificial Colors এবং Fragrance মুক্ত তাই শিশুসহ ছেলে ও মেয়ে সকলে ব্যবহার করতে পারবে। এই সোপটি মুখমন্ডলসহ সম্পূর্ণ শরীরে ব্যবহার করা যাবে।
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. নিয়মিত ব্যবহারে ফুসকুড়ি, খোসপাঁচড়া, পিম্পলস, বাম্পস, ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করবে,
🟢 ২. চোখের নিচের কালো দাগ দূর করবে,
🟢 ৩. ত্বক থেকে ব্রণ তৈরি করার ব্যাকটেরিয়া দূর করবে,
🟢 ৪. পিগমেন্টেশন দূর করে,
🟢 ৫. ত্বকের কালো দাগ ও রোদে পোড়া দাগ দূর করবে,
🟢 ৬. ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করবে,
🟢 ৭. ত্বকের বিবর্ণতা ও শুষ্কতা দূর করবে,
🟢 ৮. ত্বকের ছিদ্র গুলো পরিষ্কার করে ফলে ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা বের করে ত্বককে করে সুন্দর,
🟢 ৯. ত্বককে ময়শ্চারাইজ করবে,
🟢 ১০. ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সারিয়ে তুলবে,
🟢 ১১. ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখবে,
🟢 ১২. ত্বককে অকালবার্ধক্য থেকে রক্ষা করবে,
🟢 ১৩. ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সহায়তা করবে,
🟢 ১৪. ত্বকের পিএইচ স্কেলকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে সহায়তা করবে,
🟢 ১৫ ত্বকের জীবনী পুনঃস্থাপন করবে,
🟢 ১৬. ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে,
🟢 ১৭ ত্বককে নরম, কোমল এবং শক্তিশালী করে তুলবে।
🟢 ১৮. ত্বককে মসৃন, সতেজ ও হেলদি রাখতে সাহায্য করবে।
🌿 উপাদান : ❝শাহী ব্ল্যাকসিড সোপ❞-এতে রয়েছে খাঁটি কালোজিরা, অ্যালোভেরা, ভেজিটেবল গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল, হারবাল অয়েলস, এসেন্সিয়াল অয়েলস সহ ত্বকের জন্য উপকারী সিক্রেট ভেষজ উপাদান। তাই ত্বকের যত্নে এই সোপ এর ব্যবহার আপনাকে আশ্চর্যজনক ফলাফল পেতে সহায়তা করবে, ইনশাআল্লাহ্। এই সোপ এর মধ্যে বিদ্যমান প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, বিটা-সিটোস্টেরল, ক্যাম্পেস্টেরল, স্টিগমাস্টেরল, আজাদির চটিন, ট্রাইটারপেনয়েড, এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিসেপটিক, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি ফাঙ্গাল, এন্টি হিস্টামাইন, এন্টি পাইরেটিক, ফ্যাটি অ্যাসিড, এলিক এসিড, অ্যালকালয়েড ইত্যাদি উপকারি উপাদান।
🌿 ব্যবহারবিধি : মেকআপ রিমুভ করতে বা ফেসওয়াশের পরিবর্তে অথবা প্রতিদিন দিনে ও রাতে ব্যবহার করুন। সোপ ব্যবহার করার পূর্বে ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। ভেঁজা হাতে সোপ ঘষে নিন এবং প্রয়োজন মতো ত্বকে মেখে নিন। ত্বকে যে ফেনা তৈরি হবে তা আলতো হাতে ১—২ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সোপটি ব্যবহার করে মুখ ধোয়ার পর নিজেই পার্থক্য অনুভব করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্।
🌿 পরিমাণ : সুদৃশ্য কন্টিনারে ১০০ গ্রাম ভেষজ সাবান।
🌿 নির্দেশনা : অর্গানিক সোপ গুলো কেমিক্যাল যুক্ত সাবানের মতো শক্ত নয়, সামান্য নরম হয়। এই সোপটি পানি দিয়ে ভেজাবেন না।
🌿 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🌿 সংরক্ষণ : ব্যবহারের পর শুষ্ক ও খোলা স্থানে রাখুন।
⚜️ {৯} অর্গানিক হোমমেড খাঁটি ঘি :
“ঘি” – নাম শুনলেই যেন মনটা ভরে যায়। গরম ভাতে একটু ঘি হলেই যেন পুরো ভাতটা নিমিষেই খাওয়া হয়ে যায়। ভাতের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরে দীর্ঘক্ষণ শক্তি থাকে। গরম ভাত কিংবা খিচুড়ি এর সাথে ঘি যেন খাবারে এক আলাদা স্বাদের মাত্রা যোগ করে। ঘি এর ব্যবহার টা কিন্তু সেই প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। বিরিয়ানি, সেমাই সহ বিভিন্ন ডেজার্ট আইটেম তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত এই ঘি। এমনকি আমাদের রান্না ঘরে যে কয়েকটি সুপার ফুড আছে তার মধ্যে ঘি অন্যতম। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ঘি আমরা খাওয়ার পাশাপাশি রুপচর্চাতেও ব্যবহার করতে পারি। আপনার সুস্বাস্থের জন্য নিশ্চিন্তে বিশ্বাস রাখুন আমাদের অর্গানিক ❝শাহী ঘি❞-তে। আমাদের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ❝শাহী ঘি❞ নিজস্ব খাবারে ব্যবহার করতে বাড়িতে তৈরি করা হয় তাই যেমন সুস্বাদু তেমনি সুঘ্রাণযুক্ত। সম্পূর্ণ Preservative, Harmful chemicals, Food Color, Essence ভেজাল মুক্ত খাঁটি ঘি। প্রতিদিন এক চামচ গরুর ঘি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
🌿 উপকারিতা :-
✅ ১. ঘি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলে অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ করে শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলে,
✅ ২. ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখের জন্য ভালো। গ্লুকোমা রোগীদের জন্য উপকারী। এটি চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। চোখের জ্যোতি বাড়ায়,
✅ ৩. ঘি খেলে মিনারেল ও ফ্যাটি এসিড ভালোভাবে শোষিত হয়,
✅ ৪. মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমায়, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,
✅ ৫. ঘি খেলে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, এতে শরীরের সন্ধিগুলো ঠিক থাকে,
✅ ৬. গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা দূর করে,
✅ ৭. ঘি হলো প্রদাহ বিরোধী,
✅ ৮. পোড়া ক্ষত সারাতে কাজ করে ঘি,
✅ ৯. ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি,
✅ ১০. মুখের ভেতরের ঘা সহ যেকোনো সমস্যা দূরে রাখে,
✅ ১১. ত্বকের শুষ্কতা দূর করে তা আর্দ্র রাখে,
✅ ১২. গর্ভকালীন ঘি খাওয়া অনেক উপকারী। তবে চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে নিতে হবে।
📌ঘি পুষ্টিকর ও নিরাময়কারী। কেউ কেউ ওজন কমানোর জন্য ঘি খেয়ে থাকে আবার কেউ ওজন বাড়াতে। হার্টের যেকোনো সমস্যায় ঘি অত্যন্ত উপকারী। এজন্য শরীরের সুস্থতার কথা বিবেচনা করে ঘি খাওয়া শুরু করুন। ঘি এর উপকারিতা অনেক, তবে সেটা আসল ঘি কি না সেটা চেক করে নিবেন, ভেজাল ঘি শরীর এর তো কোনো উপকার করেই না বরং শরীরের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। তাই ভেজাল ঘি হতে সাবধান।
🌿 পরিমাণ : সুদৃশ্য কন্টিনারে ১ কে.জি জৈব ঘি।
🌿 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
🌿 সংরক্ষণ : ব্যবহারের পর ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {১০} অর্গানিক চিয়া সিড (ইম্পোর্টেড) :
Chia Seed (চিয়া বীজ) কি❓
চিয়া সিড একটি মিন্ট জাতীয় বীজ। সাধারণত এটি মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলে সালভিয়া হিসপানিকা নামক উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করা হয়। প্রাচীন মায়ান ও অ্যাজটেক জাতির কাছে এটি প্রধান উৎপাদিত খাদ্য ছিল। সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার ছিল এই চিয়া বীজ। চিয়া সিডের অনন্য পুষ্টিগুণের জন্য একে পুষ্টি বিজ্ঞানীরা সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করে। চিয়া সিড দেখতে বাংলাদেশে প্রচলিত তোকমা দানার মত দেখা যায়। তবে এই বীজ তোকমা দানার থেকে আকারে ছোট ও তিলের মত সাদা, কালো ও বাদামি রঙের হয়ে থাকে। অন্যদিকে তোকমা দানা কালো এবং বাদামী বর্নের লম্বাটে গোলাকার দানা হয়ে থাকে। তোকমা দানার চেয়ে চিয়া সিডে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফ্যাটি এসিডের পরিমানটাও বেশী। তোকমা দানার মতই চিয়া সিড পানি শোষণ করে এবং প্রায় ১২ গুন পর্যন্ত ফুলে ওঠে। তবে তোকমা দানার চেয়ে চিয়া সিড পানিতে ভিজালে এটি ভিজতে কিছুটা সময় লাগে। একে সুপারফুড বলার প্রধান কারণ হলো এতে রয়েছে মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকারের পুষ্টি উপাদান।
🌿 চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ :-
✅ ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : চিয়া সিড দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কারণ এতে আছে দেহের জন্য উপকারী সকল ধরনের পুষ্টিগুণ। নিয়মিত পরিমাণ মত চিয়া সিড গ্রহণ করলে তা হাড় মজবুত করার পাশাপাশি দেহের দুর্বলতা দূর করে। হৃৎপিণ্ড সচল রাখে যা পুরো শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
✅ দেহের টক্সিন পদার্থ দূর করে : দেহের টক্সিন পদার্থ বিভিন্ন প্রকারের শারীরিক অসুবিধার সৃষ্টি করে। চিয়া সিডে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও খনিজ পদার্থ এবং বিভিন্ন উপকারী অ্যাসিড দেহের টক্সিন পদার্থ দূর করে সাহায্য করে। এতে শরীর সুস্থ ও সবল থাকে।
✅ হজম সমস্যা দূর করে : হজম প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে পরিচালিত না হলে তা শারীরিক অসুস্থতার সৃষ্টি করে। যাদের মধ্যে ক্ষুধামন্দা, অনিদ্রা, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি অন্যতম। চিয়া সিড হজম সমস্যা দূর করে খাওয়ার রুচি বাড়ায় যা উপরে বর্ণিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
✅ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে : প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে ১৬.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি অনেক প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ উৎস থেকেও বেশি। এই কারণে সঠিক মাত্রার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে চিয়া সিড খাওয়ার সুপারিশ করা হয়।
✅ মানুষিক শান্তি নিশ্চিত করে : চিয়া সিডের স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য তা দেহের তাপমাত্রা ও অন্যান্য মেকানিজম স্বাভাবিক রাখে। এতে দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, ব্লাড প্রেশার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত থাকে। যা আমাদের মানুষিক শান্তি প্রদান করে। এই কারণে প্রতিদিন সকালে এবং রাতে চিয়া সিড যুক্ত পানীয় পান করা স্বাস্থ্যকর।
✅ ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে : ব্লাড প্রেশার আমাদের দেহের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রেশার বেড়ে গেলে দেহ কাজ করা বন্ধ করে দেয় নয়তো উল্টাপাল্টা কাজ করে। চিয়া সিড ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এবং সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে আমাদের শারীরিক ও মানুষিক অস্তিত্ব রক্ষা করে।
সুপারফুড চিয়া সিড কেন খাবেন❓
🟢 ১. পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা-৩ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
🟢 ২. চিয়া সিড ক্যান্সার রোধ করে।
🟢 ৩. চিয়া সিড ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে কাজ করে।
🟢 ৪. চিয়া সিড ব্লাড সুগার (রক্তের চিনি) স্বাভাবিক রাখে, ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
🟢 ৫. চিয়া সিড মলাশয় (colon) পরিষ্কার রাখে। যে কারনে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
🟢 ৬. চিয়া সিড-এ থাকা উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম আমাদের হাঁড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে। হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারি এই সুপার ফুড।
🟢 ৭. চিয়া সিড এটেনশান ডেফিসিট হাইপার এক্টিভিটি ডিসর্ডার (Attention deficit hyperactivity disorder ADHD) দূর করে মানব শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) বের করে দেয়।
🟢 ৮. চিয়া সিড শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
🟢 ৯. চিয়া সিড খেলে ডিপ্রেশন কমে ও ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে।
🟢১০. চিয়া সিড খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যায়।
🟢 ১২. চিয়া সিড-এ থাকা শর্করার প্রায় সব টুকুই ফাইবার। রোজের ডায়েটে চিয়া সিড থাকলে পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
🟢 ১৩. চিয়া সিড মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
🟢 ১৪. চিয়া সিড প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে।
🟢 ১৫. চিয়া সিড-এ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
🌿 সেবনবিধি : চিয়া সিডের কোনো নিজস্ব স্বাদ/টেস্ট নেই। তাই এই চিয়া সিড অন্য খাবারের সাথে মিক্সড করে খাওয়া হয়। সাধারণ চিয়া সিড শুকনো ভাবে ছাড়া যে কোনো ভাবেই খাওয়া যায় তবে এদের মধ্যে কিছু প্রচলিত পদ্ধতি আছে যা নিচে দেওয়া হলো।
✅ স্মুথি : স্মুথির পুষ্টিগুণ বাড়ানোর জন্য তাতে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া হয়। বিশ্বে স্মুথির সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া অনেক জনপ্রিয়। আপনি শসার সাথে টক দই ও চিয়া সিড মিশিয়ে অথবা যে কোনো ফলের সাথে ব্লেন্ডার করে স্মুথি তৈরি করতে পারবেন।
✅ সালাদ : সাধারণত সালাদ খাওয়া হয় অল্প খাবারের মাধ্যমে বেশি পুষ্টিগুণ পেতে। এই ক্ষেত্রে সালাদের অন্যান্য উপাদানের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
✅ ড্রিংকস : বিভিন্ন রকমের ড্রিংসের সাথে অথবা ফলের জুস এবং শরবতের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া হয়। বিশ্বব্যাপী চিয়া সিড দিয়ে শরবত পান করা অনেক জনপ্রিয়।
👉 চিয়া সিডের যেহেতু নিজস্ব কোনো স্বাদ নেই তাই এটা সাধারণত সালাদ, কাস্টার্ড, স্মুদি, ড্রিংকস সহ যেকোনো খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন। পানিতে ভিজিয়ে সহজেই খাওয়া যায় চিয়া সিড। সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস স্বাভাবিক পানি কিংবা হালকা কুসুম গরম পানিতে ১/২ চা চামচ পরিমাণ চিয়া সিড ভালো ভাবে মিশিয়ে ৩০ মিনিট বা ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খালি পেটে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সাথে খাঁটি মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। শরীরের জন্য উপকারী এমন খাদ্য আমাদের সামনে হর হামেশাই পাওয়া যায় না। তবে চিয়া সিড নানান পুষ্টিগুনে ভরপুর এবং খেতেও কোন ঝামেলা নেই। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত চিয়া সিড গ্রহণ রক্ত পাতলা করার পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। এই কারণে আমাদের সঠিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করে এই বীজ খেতে হবে।
আমাদের ❝শাহী চিয়া সিড❞ কেন ক্রয় করবেন❓
প্রিমিয়াম গ্রেডের চিয়া বীজ সংগ্রহ এবং বাছাই করে প্যাকেটজাত করা হয়। এতে কোন প্রকার ভেজাল উপাদান, ক্যেমিকেল, প্রিজারভেটিভ ও ধুলাবালির মিশ্রণ নেই। শতভাগ বিশুদ্ধ, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ।
🌿 পরিমান : সুদৃশ্য ফুড গ্রেড প্লাস্টিক কন্টিনারে ২৫০ গ্রাম চিয়া সিড।
🌿 পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি।
🌿 নির্দেশনা : অর্গানিক চিয়া সিড কেমিক্যাল যুক্ত চিয়া সিডের মতো নয়, সামান্য জমাট বাঁধতে পারে। তাই কন্টিনারটি মাসে ২—৩ দিন সূর্যের আলোতে রাখবেন।
🌿 সংরক্ষণ : ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {১১} অর্গানিক খাঁটি সরিষা ফুলের মধু :
পুষ্টিগুণ ও উপাদেয়তার দিকটি বিবেচনা করে যদি আমরা খাবারের একটি তালিকা করি, সে তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে ‘মধু’র নাম। এটি শরীরের জন্য উপকারী এবং নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত।
🌿 মধুর উপাদান ও পুষ্টিমাণ :
মধুতে উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশমন্টোজ। আরও থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো অ্যাসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ শতাংশএনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি। এক কেজি মধু ৬.৫০ লিটার দুধ অথবা ৭.৫০ কেজি পনির অথবা ১.৬৫ কেজি মাংস অথবা ৪০ টি সমান সাইজের কমলা অথবা ৫০ টি ডিমের পুষ্টিমাণের সমান। এক কেজি মধু ৩২৫০ ক্যালরি শক্তি সরবরাহ করে। মধুর উচ্চশক্তির ক্যালরি, যা রূপান্তর ব্যতীত সরাসরি অন্ত্র থেকে রক্তে সংযোজিত হয়।
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে : চোখের জন্য ভালো। গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
🟢 ২. হাড় ও দাঁত গঠনে : মধুর গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে।
🟢 ৩. মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় : মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় মধু ব্যবহৃত হয়। এটা দাঁতের ওপর ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে। মধু রক্তনালিকে সম্প্রসারিত করে দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। যদি মুখের ঘায়ের জন্য গর্ত হয়, এটি সেই গর্ত ভরাট করতে সাহায্য করে এবং সেখানে পুঁজ জমতে দেয় না। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।
🟢 ৪. গলার স্বর : গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে।
🟢 ৫. ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে : বলা হয়, ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নেওয়া হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক এবং গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবে। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরোনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো।
🟢 ৬. হাঁপানি রোধে : আধা গ্রাম গুঁড়ো করা গোলমরিচের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু এবং আদা মেশান। দিনে অন্তত তিনবার এই মিশ্রণ খান। এটা হাঁপানি রোধে সহায়তা করে।
🟢 ৭. হৃদরোগে : এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদ্রোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃৎপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
🟢 ৮. উচ্চ রক্তচাপ কমায় : দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত।
🟢 ৯. পাকস্থলীর সুস্থতায় : মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুকজ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।
🟢 ১০. হজমে সহায়তা : প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। এতে যে শর্করা থাকে, তা সহজেই হজম হয়। কারণ, এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে, তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে। পেটরোগা মানুষের জন্য মধু বিশেষ উপকারী।
🟢 ১১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
🟢 ১২. পুরোনো আমাশয় ও পেটের পীড়া নিরাময়ে : পুরোনো আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে।
🟢 ১৩. পানিশূন্যতায় : ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
🟢 ১৪. রক্তশূন্যতায় : মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ, এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।
🟢 ১৫. রক্ত পরিষ্কারক : এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মেশান। পেট খালি করার আগে প্রতিদিন এই মিশ্রণ খান। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া রক্তনালিগুলোও পরিষ্কার করে।
🟢 ১৬. রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে : রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ আয়রন রয়েছে মধুতে। আয়রন রক্তের উপাদানকে (আরবিসি, ডব্লিউবিসি, প্লাটিলেট) অধিক কার্যকর ও শক্তিশালী করে।
🟢 ১৭. অনিদ্রায় : মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।
🟢 ১৮. যৌন দুর্বলতায় : পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।
🟢 ১৯. প্রশান্তিদায়ক পানীয় : হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশ্রিত মধু একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয়।
🟢 ২০. তাপ উৎপাদনে : শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে।
🟢 ২১. শক্তি প্রদায়ী : মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
🟢 ২২. ওজন কমাতে : মধুতে নেই কোনো চর্বি। পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে।
🟢 ২৩. তারুণ্য বজায় রাখতে : তারুণ্য বজায় রাখতে মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। এটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও তারুণ্য বাড়ায়।
🟢 ২৪. রূপচর্চায় : মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়।
🟢 ২৫. রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় : মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
🟢 ২৬. অন্যান্য উপকারিতা : মুখের প্রদাহ, চোখের রোগ, চোখের পাতায় প্রদাহ, কর্ণিয়ার ক্ষত, কর্ণিয়ার অস্বচ্ছতা, স্নায়ুরোগ, পক্ষাঘাত, মুখের পক্ষাঘাত ও মৃগীরোগ, অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, সংক্রমণজনিত ক্ষত, ত্বকের অ্যালার্জি ইত্যাদীতে মধু উপকারী। মধু সর্দি, কাশি, টাইফয়েড, জ্বর, নিউমোনিয়া ও আমাশয়ে উপকারী। আধুনিক ফার্মাকোলজিক্যাল গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মধু হৃদপেশীর কার্যক্রম বৃদ্ধি করে রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং পেশীর কার্যক্রম স্বাভাবিক করে রোগ প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কলাসমূহকে সুদৃঢ় করে। মধু এক প্রকার ওষুধ, যার পচন নিবারক (অ্যান্টিসেপটিক), কোলেস্টেরল বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী ধর্ম আছে। এক গবেষণায় জানা যায় যে, নিউমোনিয়া এর জীবাণু Pneumococci, টাইফয়েডের জীবাণু Salmonella typhi এবং আমাশয়ের জীবাণু Entamoeba histolytica ১০ ঘন্টায় ধ্বংস হয়।
🌿 আমাদের ❝শাহী হানি❞ কেন ক্রয় করবেন❓
প্রিমিয়াম কোয়ালিটির সুন্দরবনের মধু সংগ্রহ এবং স্বাস্থসম্মত উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে প্যাকেটজাত করা হয়। এতে কোনো প্রকার ভেজাল উপাদান, আর্টিফিশিয়াল কালার, ক্যেমিকেল, প্রিজারভেটিভ ও ধুলাবালির মিশ্রণ নেই। শতভাগ বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।
🌿 পরিমান : সুদৃশ্য ফুড গ্রেড প্লাস্টিক বোতলে ১ কে.জি কাঁচা মধু।
🌿 পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি।
🌿 নির্দেশনা : ফুলের ভিন্নতা ও তাপমাত্রার কম-বেশির কারনে মধুর পাত্রের নিচে কোন এক সময় চিনির দানার মতো কম বা বেশি তলানি পড়ার সম্ভাবনা আছে। এবং মধুর ঘনত্ব কম হলে পাত্রে ফেনা ও হাওয়া হতে পারে। মধু পরীক্ষার একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে- ল্যাব টেস্ট। ঘরোয়া কোন পরীক্ষা দিয়ে মধু খাঁটি-ভেজাল চেনা যায় না। মধু চেনার সঠিক উপায় হচ্ছে- মধুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা।
🌿 সংরক্ষণ : ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {১২} অর্গানিক ব্লু টি :
যাদের চা থেকে উপকার পেতে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস আছে, তারা এবং স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই বেছে নিয়েছেন অপরাজিতা ফুলের নীল চা। এ চায়ের উপকারী গুণের কথা জানলে ডায়েট লিস্টে সেরা পানীয় হিসেবে একে সবার উপরে প্রাধান্য দেবেন আপনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায়, চর্বি কমাতে, মেদ ঝরাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে, শরীরের কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে, সৌন্দর্য বাড়াতে, ত্বকের যত্নে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই চা অনেক কার্যকরী। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মুটিয়ে যাওয়ার কারণে যকৃতের যেসব সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো প্রতিরোধে নীল চা বেশ উপকারী। “তিব্বে ইলাহী এবং তিব্বে নববী হারবাল” নিয়ে এসেছে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বাছাইকৃত অপরাজিতা ফুল শুকিয়ে তৈরি ❝শাহী ব্লু টি❞ অনন্য আয়ুর্বেদিক চা। এতে কোন প্রকার কৃত্রিম উপাদান, ক্ষতিকারক কেমিক্যাল, প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল কালার ও সুগন্ধি এর মিশ্রণ নেই তাই এটি শতভাগ হালাল, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ।
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ করে : নীল চায়ে অ্যান্থোসায়ানিনস, প্রোনথোসায়ানিডিনস এবং কোয়ার্সেটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের র্যাডিক্যালগুলিকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে এবং কোষগুলিকে মানসিক চাপ এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
🟢 ২. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে : নীল চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
🟢 ৩. হজমে সাহায্য করে : নীল চায়ে মল নিঃসরক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্র গঠনে সাহায্য করে।
🟢 ৪. শরীরে জ্বালা ভাব দূর করে : নিয়মিত নীল চা পান করলে শরীরের জ্বালা ভাব দূর হয়।
🟢 ৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে : নীল চায়ে ক্যাটেচিন থাকে, যার কারণে পেটের চর্বি বার্ন করতে এবং ক্ষুধা দমন ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
🟢 ৬. নীল চা ত্বকের জন্য দুর্দান্ত। এর অ্যান্টি-গ্লাইকেশন প্রভাবের কারণে ত্বকের অকাল বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নীল চায়ে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েডগুলি কোলাজেন উৎপাদনকেও উদ্দীপিত করতে পারে।
🟢 ৭. নীল চায়ে থিয়ানাইন থাকায় নিয়মিত এ চা খেলে শরীরে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায়। দিনে অন্তত দু’বার এই চা খেলে শরীরে হেপাটিক মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় ও কোলেস্টেরল কমে যায়।
🌿 নীল চা তৈরির নিয়ম : প্যানে ৪ কাপ পানি নিয়ে চুলায় দিন। ফুটে উঠলে দুটো এলাচ, দুই টুকরো আদা, এক টুকরো দারুচিনি ও পাঁচটি অপরাজিতা ফুল দিয়ে দিন পানিতে। ফুলের নিচের সবুজ অংশ ফেলে তারপর দেবেন। ৫ থেকে ৬ মিনিট ফুটান। এরপর চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১৫ মিনিট পর কাপে ঢেলে মধু মিশিয়ে পরিবেশন করুন। লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন খাওয়ার আগে। লেবুর রস মেশালে এই চা রঙ বদলে বেগুনি হয়ে যাবে।
🌿 পরিমাণ : সুদৃশ্য জিপার ব্যাগে ১০ গ্রাম শুকনো অপরাজিতা ফুল।
🌿 পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি।
🌿 সংরক্ষণ : ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
⚜️ {১৩} অর্গানিক ত্রিফলা চূর্ণ :
বিস্ময়কর ঔষধি গুণসম্পন্ন ত্রিফলা চূর্ণ স্বাস্থ্য রক্ষায় এখনো প্রাচ্যের মেডিসিন থেকে অনেক বেশি কার্যকর। আর তাই বিশ্বব্যাপী চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, গবেষকগণ ত্রিফলাকে দিয়েছেন ‘মাদার অব অল হার্বস’ এর স্বীকৃতি। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বাছাইকৃত আমলকী, হরীতকী ও বহেড়া ও অন্যান্য ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে প্রস্তুত “তিব্বে ইলাহী এবং তিব্বে নববী হারবাল”-এর ❝শাহী ত্রিফলা পাউডার❞ অনন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এতে কোন প্রকার কৃত্রিম উপাদান, কেমিক্যাল, প্রিজারভেটিভ ও আর্টিফিশিয়াল কালার এর মিশ্রণ নেই তাই এটি শতভাগ প্রাকৃতিক ও নিরাপদ।
ইহা বদহজম, ক্ষুধামান্দ্য, পিত্তাধিক্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, ক্ষীণদৃষ্টি ও হৃদরোগ ইত্যাদী রোগে কার্যকরী। ইহা মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে, অর্শরোগ ও চর্ম রোগে সুফলদায়ক। আমলকীতে পেয়ারার চেয়ে ৩ গুণ, কাগজি লেবুর চেয়ে ১০ গুণ, কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ, আমের চেয়ে ২৪ গুণ, কলার চেয়ে ৬০ গুণ এবং আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও আমলকী আমিষ, চর্বি, ক্যালসিয়াম, লৌহ, খনিজ, শর্করা, মিনারেলস, ফাইলেম্বিক এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। বহেড়ার মধ্যে অনেক যৌগ ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মানব দেহের জন্য খুবই কার্যকর। যেমন : Sitsterol, Galic Acid, Galloyl Glucose, Fatty Acid, Protien, Oxalic Acid, Tannin, Palmitic Acid, Oleic Acid, Linoeic Acid, Galactose, Ethyl Gallate. এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলসহ অসংখ্য উপকারী উপাদান। বহেড়ায় বিদ্যমান মেনিটল মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। হরিতকীতে রয়েছে ট্যানিন, অ্যামিনো অ্যাসিড। হরিতকী কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা উপশম করে। একসাথে ব্যবহারে এদের গুণাগুণ হাজার গুণ বেড়ে যায় এই ধারণা থেকেই ত্রিফলার উৎপত্তি। ত্রিফলায় থাকা গ্যালিক অ্যাসিড ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। হাজারো পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ত্রিফলার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিন :
🌿 উপকারিতা :-
🟢 ১. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে,
🟢 ২. উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে,
🟢 ৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে,
🟢 ৪. ইমিউন সিস্টেম বুস্ট করে,
🟢 ৫. গ্যাস্ট্রিক এর সমাধানে খুবই কার্যকরী,
🟢 ৬. কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে,
🟢 ৭. কিডনী ও লিভার ভালো রাখে এবং রক্তসংবহন তন্ত্রের জন্য উপকারী,
🟢 ৮. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়,
🟢 ৯. ওজন কমাতে সাহায্য করে,
🟢 ১০. যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হযরত ইমাম গাজ্জালী {রহ.} তার রচিত ‘এহইয়াউল উলুম’ গ্রন্থে মানুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধির যে চারটি উপাদানের কথা উল্লেখ করেন তার মধ্যে ত্রিফলা অন্যতম,
🟢 ১১. শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে ত্রিফলার জুড়ি নেই।
🌿 সেবনবিধি : খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ত্রিফলা পাউডার খাওয়া উচিত। পেটের বিভিন্ন সমস্যার জন্য রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস পানিতে ত্রিফলা পাউডার ১টি স্যাসেট গুলিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে উঠে শুধু পানিটা খেয়ে নিবেন। ভালো উপকার পেতে খালি পেটে সেবন করুন অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
🔶 আমাদের ❝শাহী ত্রিফলা পাউডার❞ কেন ক্রয় করবেন❓
প্রিমিয়াম গ্রেডের আমলকী, হরীতকী ও বহেড়া ও অন্যান্য ভেষজ উপাদান সংগ্রহ এবং বাছাই করে গুঁড়ো করে প্যাকেটজাত করা হয়। এতে কোনো প্রকার ভেজাল উপাদান, ক্যেমিকেল, প্রিজারভেটিভ ও ধুলাবালির মিশ্রণ নেই। শতভাগ বিশুদ্ধ, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ।
🌿 পরিমান : সুদৃশ্য ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের কন্টিনারে ৩০ টি স্যাসেট পরিপূর্ণ ত্রিফলা গুড়া।
🌿 পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি।
🌿 সংরক্ষণ : ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
#হালাল #অর্গানিক #হেয়ারঅয়েল #শ্যাম্পু#হেয়ারপ্যাক #টুথ পাউডার #লিপবাম #ফেসপ্যাক #হ্যান্ডমেডসোপ #বডিঅয়েল #খাঁটিঘি #মধু #উপটান #ব্লুটি #স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস #তিব্বেইলাহীএবংতিব্বেনববীহারবাল #শাহী #পণ্য #organic #halal #organichairoil #hairoil #organicshampoo #shampoo #organichairpack #hairpack #organictoothpowder #toothpowder #organiclipbalm #lipbalm #organicfacepack #facepack #handmade #handmadesaop #organicsoap #organicbodyoil #bodyoil #organicghee #ghee #organichiney #honey #organicskincare #organichaircare #organictoothcare #organicproducts #haircare #skincare #halalproducts #shahi #priducts #tibbeilaheandtibbenawabiherbal












